বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একই ঘটনায় পৃথক ২ থানায় মো. শরিফুল ইসলাম সজল (২৮) নামের এক ব্যক্তি মামলা করেছে।
অনলাইন ডেস্ক
-
প্রকাশিত:
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
-
৫
বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একই সময়ে একই ঘটনা নিয়ে মো. শরিফুল ইসলাম সজল (২৮) নামের এক ব্যক্তি ধামরাই ও আশুলিয়া থানায় প্রায় এক হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় ধামরাই থানা পুলিশ ছয়জনকে এবং আশুলিয়া থানা পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। একই ব্যক্তি একই ঘটনায় দুই থানায় দুটি মামলা করেছেন। মামলা দুটির কোনটি সঠিক ও কারা প্রকৃত অপরাধী তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে?
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন সাভারের আশুলিয়া থানার খেজুরটেক এলাকার আব্দুর রশিদ প্রামাণিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম সজল।
ওই দিন তিনিসহ অনেকেই থানা বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানকালে আনুমানিক সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে আন্দোলনের বিপক্ষের লোকেরা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিতে আহত হন সজল। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত ২৮ মার্চ ধামরাই থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৩৪৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এর আগে তিনি গত বছরের ৮ অক্টোবর একই ঘটনায় একই তারিখ উল্লেখ করে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা করেন।
মামলাটি ২০ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় এফআইআর করা হয়।
একই ঘটনায় দুই থানায় দুটি মামলা চলতে পারে না বলে জানিয়েছেন ফৌজদারি মামলা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিমল চন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে দুটি মামলার তথ্য আদালতের নজরে আনা উচিত।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী মো. শরিফুল ইসলাম সজলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন